মাফিয়া ডন মিঠুসহ পাঁচ ব্যবসায়ীকে তলব

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৭ এএম
মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত জরুরি এক নোটিশে তাদের তলব করা হয়। নোটিশে তলবকৃতদের রেকর্ডপত্রসহ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় হাজির হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তলব করা ব্যক্তিরা হলেন মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিকেল টিম) মো. মতিউর রহমান, এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। এরমধ্যে মো. আবদুর রাজ্জাক, মো. মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে আগামী ৮ জুলাই এবং মো. হুমায়ুন কবির ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
তলবি নোটিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্তে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। নোটিশে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে।
মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির হোতাদের ধরতে গত ১৫ জুন চার সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। তার আগে গত ১০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক জরুরি বৈঠকে করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি-প্রতারণা বা জাল জালিয়াতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।