নির্বাচনী ব্যয় ৬ থেকে ৫০ লাখ টাকা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:০৭ পিএম
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (উত্তর ও দক্ষিণ) কোন প্রার্থীর জামানত কত, আর কোন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় কত তার সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উভয় সিটিতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে সর্বনিম্ন জামানত ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আর নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে মেয়র পদের প্রার্থীদের জন্য জামানত ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। ব্যক্তিগত ব্যয় দুই লাখ টাকা আর সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা অবধি। ইসির দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোটার অনুযায়ী ৪ ক্যাটাগরিতে জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব ওয়ার্ডে ভোটার ২০ হাজারের কম সেখানে জামানত ১০ হাজার টাকা। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ব্যয় করবেন ১০ হাজার টাকা। তবে সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা।
দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন। অপরদিকে সর্বনিম্ন ভোটার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেছে মাত্র ১১ হাজার ৭৮১ জন। আবার ২১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার এমন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জন্য ২০ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা দুই লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় এবং ২০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত খরচ করতে পারবেন।
অপরদিকে, ৩১ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটার হলে ৩০ হাজার টাকা জামানত। সেখানে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। আর ব্যক্তিগত খরচের সীমা ৩০ হাজার টাকা। ৫০ হাজারের বেশি ভোটার আছে এমন ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ৫০ হাজার টাকা জামানত, ৬ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় নির্ধারণ করেছে ইসি।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটির সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ৪১, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এ তিন ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য জামানত ১০ হাজার টাকা। আবার ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তবে ১৮, ২৩, ২৮, ২৯, ৩১, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য জামানত ৩০ হাজার টাকা আর বাকি ওয়ার্ডগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি।
ঢাকা উত্তর সিটির সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক লাখ ৯ হাজার ৩০৩ জন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক লাখ ৮ হাজার ৩৬৮ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক লাখ ৪ হাজার ৭৯০ জন, ২২ নম্বরে এক লাখ ১ হাজার ৫২৬ এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে এক লাখ ১ হাজার ১৭১ জন।
অপরদিকে, দক্ষিণ সিটির ৩৭, ৬৯,৭০ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম ভোটার হওয়ায় এসব ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে জামানত ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আবার ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২১, ২৫, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৫, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫২, ৫৯, ৬৪, ৬৭, ৬৮, ৭১, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামানত ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
একইভাবে, দক্ষিণ সিটির ১, ৩, ৫, ৬, ১১, ১২, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২৩, ২৪,২৬, ২৯, ৩৩, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪৫, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৭, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ৫১ হাজারের বেশি ভোটার থাকায় জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। দক্ষিণে সর্বোচ্চ ভোটার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৮ হাজার ৪২৫ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটা ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ২০৮ জন ভোটার।
ঢাকা উত্তরে ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪ আর মোট ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ ৮ হাজার ৮৬৩ জন। অপরদিকে, দক্ষিণে ওয়ার্ডের সংখ্যা মোট ৭৫টি। ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
গত ২২ ডিসেম্বর ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমার শেষদিন। যাচাই বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি।