×

জাতীয়

‘কালাজ্বর মুক্ত’ সনদ পেতে চ্যালেঞ্জ ভারত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৬ এএম

‘কালাজ্বর মুক্ত’ সনদ পেতে চ্যালেঞ্জ ভারত
   

বাংলাদেশ কালাজ্বর নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে ২০১৬ সালেই। অর্থাৎ কালাজ্বরপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রতি ১০ হাজারে ১ জনেরও কম মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কালাজ¦র নির্মূলের সনদ হয়তো পাবে। কিন্তু কালাজ্বর মুক্তের সনদ পেতে আরো সময় লাগবে। কারণ ভারত এখনো কালাজ¦র নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশের কালাজ¦রে আক্রান্ত উচ্চপ্রবণ এলাকাগুলোতেও এখন রোগী এবং এ রোগের বাহক বেলে মাছির সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। অনেক এলাকায় পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে কালাজ¦রে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে একশটি উপজেলা কালাজ¦রপ্রবণ। গত ২০ বছরে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগী এবং এলাকাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৭৪ হাজার রোগীর মধ্যে ৪৪ হাজারই ছিল ময়মনসিংহ এলাকায়। ময়মনসিংহের উচ্চপ্রবণ পাঁচটি উপজেলার মধ্যে রয়েছে ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, গফরগাঁও, ভালুকা ও মুক্তাগাছা। এ ছাড়া জামালপুরের মাদারগঞ্জ, খুলনার তেরখাদা ও টাঙ্গাইলের একটি উপজেলা ছিল উচ্চপ্রবণ এলাকা। মধ্যপ্রবণ এলাকা ছিল ১৫টি। ৭৭টি ছিল স্বল্পপ্রবণ এলাকা। কালাজ্বর আক্রান্ত উচ্চপ্রবণ এলাকায় প্রতিবছর ২০ থেকে ৩০ হাজার জন এ রোগে আক্রান্ত হতো। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা কমে এসেছে ২৯১ জনে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৪ জন। আগে প্রতি ১০ হাজারে রোগীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ৫ জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১ জনেরও কম। সংখ্যার হিসাবে তা দশমিক ৮। অনেক উপজেলায় রোগী নেই বললেই চলে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যত কালাজ¦র নির্মূল হয়েছে। গত দশ বছরে সরকারের বাস্তবায়িত কর্মসূচি এবং নজরদারির কারণে জাতীয় কালাজ¦র নির্মূল কার্যক্রম সফলভাবে কাজ করেছে।

কালাজ্বর নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা এক্সেলেরেটিং দ্য সাসটেইনেবল কন্ট্রোল এন্ড এলিমেনেশন অব নেগলেক্টটেড ট্রপিক্যাল ডিজিস (এসেন্ড)। এসেন্ডের কান্ট্রি হেড অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহম্মেদ এ প্রসঙ্গে ভোরের কাগজকে বলেন, দেশে কালাজ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। অনেক এলাকায় নতুন করে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন করে আর যাতে কেউ কালাজ¦রে আক্রান্ত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ কাজের মূল পদ্ধতি হচ্ছে, কালাজ্বরের গুচ্ছ শনাক্ত করা। অতীতে কালাজ¦র কোথায় কোথায় হয়েছে সেই বিষয়ে গুচ্ছ শনাক্ত করে তা মূল্যায়ন করা হবে। আগামী তিন বছর (২০১৯, ২০, ২১ এবং ২০২২ সালের প্রথমার্ধো পর্যন্ত) ঢাকা, রংপুর, জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলায় সমন্বিতভাবে আমরা দুটি কাজ করব। রোগী থাকলে তাদের শনাক্ত করে চিকিৎসা দেয়া এবং এ রোগের বাহক বেলে মাছির প্রকোপ কেমন তা দেখে বেলে মাছি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা। ইতোমধ্যে আমাদের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেছে।

তবে কাজটি অনেকটা কঠিন বলে দাবি করেন অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহম্মেদ। তিনি বলেন, স্ত্রী বেলে মাছির কামড়ে মানুষের শরীরে কালাজ্বরের জীবাণু ছড়ায়। সাধারণত কামড়ানোর দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে রোগের সংক্রমণ ঘটে। তবে দেখা যায়া ১০/১৫ বছর পরে আবার নতুন করে কালাজ¦র দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ভারতে এখনো কালাজ¦র নির্মূল হয়নি। দেখা গেছে, ভারতে কাজ কিংবা ভ্রমণে গিয়ে কালাজ্বরে আক্রান্ত হবার পর তা অন্য দেশে গিয়ে শনাক্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কর্মকৌশল থাকবে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আক্রান্ত হলেও যাতে স্থানীয়ভাবে তা সংক্রমিত না হতে পারে। চলতি মাসেই ভারতের কালাজ্বর কর্মসূচি মূল্যালয় করতে সেই দেশে যাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহম্মেদ। সেখানে বাংলাদেশে কাজের অভিজ্ঞতাও বিনিময় হবে বলে জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App