৮ আসামি আদালতে, রায়ের অপেক্ষায়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১০ এএম

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারক। এদিকে হলি আর্টিজান মামলার রায়কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণসহ সারাদেশে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযোগপত্রের ৮ আসামি হলেন হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবদুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই কারাগারে। ঘটনাস্থলে নিহত ৫ আসামি হচ্ছেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলেন, তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্য, আলামত, তদন্তকারীর রিপোর্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। আমরা সেই বিষয়গুলো আদালতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যে গড়মিল রয়েছে সেই কথা তুলে ধরেছি। মামলার মোট আসামির সংখ্যা হচ্ছে ৮ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডার বোল্ডের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।