নিকলীতে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫৩ এএম
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সহকারী শিক্ষকের ৪টি পদও শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ সাত-আট বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়াও ওই বিদ্যালয়গুলোতে ৪টি সহকারী শিক্ষকের পদও দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে।
বিদ্যালয়গুলো হলো, গোড়াদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুলতান পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধিওরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাড়াবাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুইতলা ১ নম্বর কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম টেংগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বনমালীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ জাল্লাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবশ্বরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঠারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ছাতিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য গুরুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বগুরুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মো. হাছেন আলী জানান, বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের পদ থাকলেও আছেন চারজন। এর মধ্যে তাকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। গোড়াদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় ৯ বছর ধরে। এ কারণে ক্লাস রুটিনের নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে দিন দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসতে হয় সে দিন রুটিনে থাকা আমার ক্লাস হয় না কারণ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নেই। প্রতি মাসেই চার-পাঁচদিন এ রকম হয়ে থাকে। অন্য যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই সে গুলোরও একই অবস্থা।
নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তাহের ভূঞা বলেন, প্রতি মাসেই এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদফতর মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে সেখান থেকে আমাদেরকে জানানো হয়। কিন্তু নিয়োগ হয় না।