মিছিল করে মনোনয়নপত্র কেনা আচরণবিধির আওতায় পড়ে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মিছিল করে দলের নমিনেশন পেপার কেনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির আওতায় পড়ে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্টি অফিসের ভেতরে তারা রাজনৈতিক কী কার্যক্রম করলো, বা না করলো— এটি নির্বাচনি আচরণবিধির মধ্যে পড়বে না। কোনও জায়গায় আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা, এগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন। এলাকায় গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে শো-ডাউন করে তারা এখন কোনও প্রচারণা করতে পারবে না। আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন হবে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেনে। কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কেউ এখন ভোট চাইতে পারবে না। তবে রাজশাহীতে আচরণবিধি ভাঙার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছেন। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা কেবলমাত্র তাদের স্থানীয় খরচ বহন করবো। কিন্তু অন্য কোনও খরচ বহন করবো না। অন্য দেশেও নির্বাচন হলে আমাদের আমন্ত্রণ জানালে তারাও আমাদের খরচ বহন করে। নির্বাচন কমিশনাররা বাদে অন্য যারা সাংবাদিক বা অন্য সংস্থার লোকজন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন, তারা নিজের খরচে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, প্রমোশন করতে চাইলে আপনাদেরকে অবগত করতে হবে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আরপিও অনুযায়ী পুলিশের কমিশনার এবং বিভাগীয় কমিশনারের নিচে যত কর্মকর্তা আছে, তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবেন না। কোনও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ যদি নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনে হয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে, তাহলে সেই কর্মকর্তাকে ওই জায়গা থেকে নির্বাচন কমিশন বদলি করে দিতে পারবে এবং সংবিধানে আছে নির্বাহী বিভাগের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন যদি সহায়তা চায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ সহায়তা করবে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকার দলের পক্ষে কাজ করে— এই অভিযোগের বিষয়ে আপনাদের মতামত কী? জবাবে তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে এরকম অভিযোগ শুনে আসছি, এ রকম অভিযোগ থাকবেই। এ রকম অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এটা বরাবরই শোনা যায়।