সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করতে সমঝোতা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজীকীকরণের জন্য এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।
সোমবার (২০ নভেম্বর) এ সমঝোতা স্মারক সই হয় বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের নিবন্ধক মোঃ আবদুছ সামাদ আল আজাদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফা। এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজীকরণের জন্য এ সমঝোতা সই হয়েছে। প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। এ স্কিমের অধীনে ২০০০, ৩০০০, ৫০০০ ও ১০,০০০ টাকার চারটি জমার অপশন রয়েছে। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দেয়। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
এরই মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে বলেও জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেগুলো হলো – প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকুরীজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্পআয়ের নাগরিকদের জন্য)।