সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ডিআরইউ’র উদ্বেগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১০১ বার পেছানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও চরম হতাশা প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। তারা অতি দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হওয়ার দিন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত) বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। খুনের দুই দিন পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহামুদ খন্দকারও বলেছিলেন, তদন্তের প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর চললেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদনই জমা পড়েনি। এটা হতাশাজনক।
‘সাংবাদিক সমাজ বিশেষ করে ডিআরইউ এই নির্মম হত্যাকান্ডের পর থেকেই দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক এমন কোন কর্মসূচি নেই যা পালন করেনি। কিন্তু কোন অজানা কারণে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্টই জমা পড়ছে না-এ নিয়ে সাংবাদিক সমাজসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি সাগর-রুনির পরিবার ন্যায্য বিচার পাবেন না? আর কত অপেক্ষা করতে হবে সাংবাদিক সমাজের?’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এই দাবি থেকে কোন অবস্থাতেই সরে যাবে না। ডিআরইউ বিচারাধীন কোন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার বিচার না পাওয়ায় আমরা সাংবাদিক সমাজ অত্যন্ত হতাশ। আমরা এই সাংবাদিক দম্পতির এক মাত্র পুত্র মাহির সরওয়ার মেঘের মুখের দিকে তাকাতে পারি না, আমরা তার কাছে জবাব দিতে পারিনা, কেন তার পিতা-মাতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি- র্যাব যদি এই তদন্ত শেষ না করতে পারে, প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারে, তাও তো তারা আদালতকে জানাতে পারেন। আমার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারটা চাই, বিচার চাই, বিচার চাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু র্যাবের পক্ষ থেকে আজও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলম আগামী ১৫ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও মেহেরুন রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন।