আমানকে ডিভিশনসহ হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম

আমানউল্লাহ আমান
তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করবেন।
এসময় আমান অসুস্থ হওয়ায় জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায় হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেয়ার আবেদন করা হয়। আমান সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসুর ভিপি হওয়ায় এ আবেদনগুলো করেছেন তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এরআগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত ৭ আগস্ট বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্ৰকাশ করেন উচ্চ আদালত। সেসময় উচ্চ আদালত থেকে বলা হয়, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ সময় শেষে চলতি বছরের ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরবর্তীতে গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।