গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

বিদেশিদের করুণা লাভের আশায় তারা ধারাবাহিকভাবে গুম-খুন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি বলে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন গুম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি। তাদের এমন বক্তব্য বাস্তবতা-বিবর্জিত ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন কাদের। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে গুম ও অপহরণ নিয়ে বিএনপি নেতাদের অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন নিখোঁজ হয়েছিল। সেই দায় তারা সরকারের উপর চাপিয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই জামাল নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে গুম হয়েছিল। সালাউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হয়েছিল। সেই দায়ও তারা সরকারের উপর চাপিয়েছিল। অথচ তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন। ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা (মির্জা আব্বাস) বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপির লোকজনই গুম করেছে। যা সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। গুম নিয়ে বিএনপি মিথ্যা বয়ান দিচ্ছে। তারা সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অথচ তাদের গুমের নাটকের নেপথ্যের আখ্যান দেশবাসী জানে।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, এ দেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান অসংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। তিনিই গুমের রাজনীতি শুরু করেন। তার আমলেই ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বাবুকে গুম করে হত্যা করা হয়। তার লাশটাও পরিবার খুঁজে পায়নি। চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা মৌলভী সৈয়দকে তারা হত্যা করে। জিয়া নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তথাকথিত বিদ্রোহের অভিযোগে সেনা ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও সহস্রাধিক সৈনিককে হত্যা করেছিল। তাদের অনেকেরই লাশও পাওয়া যায় নি। হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর শেষ চিহ্নটুকু পেতে তাদের পরিবারের সদস্যরা আজও তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে। তারা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারেরও দাবি জানিয়ে আসছেন।
কাদের বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’- নামে আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। এই বেআইনি হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে তারা ইনডেমনিটি আইন করে। বিএনপি-জামায়াত আমলে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি তত্ত্বাবধান ও হাওয়া ভবনের নির্দেশে শেখ হাসিনাসহ দলের জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে গণহত্যা সংঘটিত করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী।