খাদিজাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৭ পিএম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, 'খাদিজাকে ১ বছর ধরে কারাবন্দী করে রাখা এবং বারবার তার জামিন নামঞ্জুর করা স্পষ্টভাবে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের অযৌক্তিক লঙ্ঘন।'
এতে আরও বলা হয়, 'খাদিজার এখন নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে থেকে ভাগ্যের দিকে না তাকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি নেওয়ার জন্য পড়াশোনা করার কথা ছিল।'
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, 'তাকে এমন এক সময় কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে যখন বাংলাদেশে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিসর দ্রুত সংকুচিত হচ্ছে এবং এটি ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি সরকারের একটি শীতল বার্তার নজির।'
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও সরকার সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তারা ভিন্নমত দমন করতে এবং সমালোচকদের নিপীড়ন করার জন্য এর ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।'
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার উপআঞ্চলিক পরিচালক নাদিয়া রহমান বলেন, 'সরকারকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে খাদিজাকে এবং মতপ্রকাশ করার স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের জন্য যারা বাংলাদেশে বিনা বিচারে আটক আছে তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।'
খাদিজা জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া তারা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।