রংপুরে ১০ লক্ষাধিক লোক সমাগম ঘটবে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের শক্তি আমাদের প্রেরণা শেখ হাসিনা তার প্রিয় রংপুরে আসছেন ১২ বছর পর। এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ। দশ লক্ষাধিক লোক সমাগম ঘটবে। সেই তাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের। দীর্ঘদিন পরে আসছেন শেখ হাসিনা। সামনে এগিয়ে আসছে নির্বাচন। প্রথম ধাপের কাজটি রংপুর থেকেই শুরু করছেন।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৪ বছরের সকল অর্জনকে ম্লান করে দেয়ার জন্য বিএনপি জামায়াত মাঠে নেমেছে। কুলাঙ্গার তারেক রহমানের লোপাট করা টাকা দিয়ে বিদেশি লবিষ্ট নিয়োগ করেছে। যারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা দখল করেছে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিলো। যারা বিমানবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার হত্যা করেছিল। সেই তারা আজ মানবতার কথা বলে। ওরা আমাদের আজ গণতন্ত্র শেখায়।
সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উত্তরের জনপদ আজ সম্ভ্রান্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নের জন্য কতো আগ্রহ কতো তার লক্ষ্য তা আমরা চিন্তাও করতে পারিনা। রংপুর নিয়েও তার সীমাহীন স্বপ্ন। এজন্যই জনসভা মহাসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। মানুষে মানুষে সয়লাব করে ফেলতে হবে রংপুরের গোটা মহানগরকে।
২ আগস্ট অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জনসভাপূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার (৩১ জুলাই) রংপুরের আরডিআরএস মিলনায়তনে আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, নেত্রীর নিরাপত্তা জনসভার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিতদের দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। সবার চোখ রাখতে হবে সবার ওপর। ব্যাগ থাকলে চেক করবেন। বুকে জড়িয়ে যাচাই করে ফেলবেন কাউকে সন্দেহ হলেই।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা তুমিই বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ রংপুরে আসছেন এর চেয়ে আর আনন্দের খবর আর কিছু হতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তার কী কিছু করার আছে। তারেক রহমান একটা খুনি পলাতক আসামি তার কি করার আছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে। ২০১৪ সালে তারা ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা নমিনেশন বাণিজ্য করেছে। এই রংপুরে মানুষ না খেয়ে মারা যেতো। কিন্তু সেই রংপুরের মানুষ সমৃদ্ধ হচ্ছে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন করছে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, রংপুরের সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। আসছেন শেখ হাসিনা আমাদের শেষ ঠিকানা। অন্ধকারের বাংলাদেশকে আলোকিত করেছেন। তিনি আছেন বলেই আমরা ভালো আছি। বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। সেই শেখ হাসিনা আসছেন রংপুরে। আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনসভাকে সফল করার জন্য সকলপ্রকার সহায়তা করা। চোখ কান খোলা রাখতে হবে যাতে শান্তিপূর্ণ একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, শৃঙ্খলা মানবো ঐক্যবদ্ধ থাকবো এই নীতি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আদর্শের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ চলবে না। সমাবেশ সফল করার জন্য সকল নেতাকর্মীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
কর্মীদের অর্পিত দায়িত্বপালনে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।