ক্যাশলেস লেনদেনে কমবে আর্থিক দুর্নীতি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
আমাদের দেশে একটার পর একটা বিপ্লব সংঘটিত হচ্ছে। ডিজিটাল অর্থনীতিতেও এখন বিপ্লব এসেছে। অর্থনীতির অনেক অংশ জুড়েই এখন মোবাইলের অবস্থান বলে জানান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর চেয়ারম্যান ড জায়েদি সাত্তার।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউ পি আর আই এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার ধারনা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশে বেশিরভাগ লেনদেন সম্পন্ন হবে ক্যাশলেস মাধ্যমে। আর মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হলে তার একটা পদচিহ্ন রয়ে যায়। যার মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি শনাক্ত করা সহজ।
এজেন্ট ব্যাংকিং এর ওপর সচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ব্যাংকগুলো এখন শাখা ভিত্তিক ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে এসেছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছে তারা। কারণ শাখা ব্যবস্থাপনার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে খরচ অনেক কম।
এর মাধ্যমে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। যেখানে খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারছে গ্রাহক এবং জমা রাখতে পারছেন টাকা। পাশাপাশি ঋণগ্রহণ করতে পারছে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে। ব্যাংকিং পদ্ধতির নতুন আবিষ্কারের অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। বেশিরভাগ ব্যাংক যে রকম লেনদেন করে অভ্যস্ত তাদেরকে সেই কালচার থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞ এই অর্থনীতিবিদ। এজেন্ট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ভিত্তিক ব্যাংকিং এ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্টের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগই জমা করেছেন গ্রামাঞ্চলের জনগণ। অন্যদিকে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৮৫১ কোটি। মার্চ মাসে ২৫৭৮ কোটি টাকা রেমিটেন্স এসেছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। হিসাব বলছে বর্তমান এজেন্ট সংখ্যা ১৫ হাজার ৪০৯ জন।