৩৪ মাস বেতনহীন সরকারি পলিটেকনিকের ৭৭৭ শিক্ষক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট নিরসনে স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ৩৪ মাস বেতন পায়নি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই শিক্ষকরা। ২০১০ সালে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। এই শিক্ষকদের মধ্যে ৫০ এর অধিক মুক্তিযুদ্ধাদের সন্তান বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই আভিযোগ তুলেন স্টেপ প্রকল্পে নিয়োগ প্রাপ্তরা। দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলন।
যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা, বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার সভাপতি মো. সুমন হায়দার।
লিখিত বক্তব্য বলা হয়, সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট নিরসনে স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ৩৪ মাস কোন বেতন পাচ্ছে না।
জুলাই-২০২০ হতে ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ৩৪-মাস যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কয়েকজন শিক্ষক টাকার অভাবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করাতে পেরে মারা গেছেন। অনেকে মানসিক ও শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া ধীরগতির কারণে শিক্ষকরা চরম হতাশা।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষকের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসানের জন্য বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্বখাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয়।
দাবি পুরণ না হলে আগামী ৩০শে এপ্রিল থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষনা দেন তারা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সদস্য সায়লা আক্তার শর্মি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম এর সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. মেহেদী হাসান প্রমুখ।