অটিজম স্কুলের নন বিএসএড শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত ৭২টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ে কর্মরত নন বিএসএড শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দ্রুত চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সারাদেশের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম স্কুলে কর্মরত নন বিএসএড শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
গত অক্টোবর ২০২২ থেকে কোনো ধরনের বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মানববন্ধনে বিএসএড শিক্ষকরা বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে, মহাদুর্মূল্যের বাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেখানে সবার জন্য সরকারের পথ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সেখানে অমানবিকভাবে আমাদের বেতন ভাতা ২০১৯ বিশেষ শিক্ষা নীতিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস হতে কর্তন করে আমাদেরকে গভীর সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস হতে বেতন ভাতা পুরোপুরি স্থগিত করে আমাদের জীবনকে মহাসাগরে ফেলে দিয়েছে। এতে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, আমরা যারা বিএসএড (ব্যাচেলর অব স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিধারী না হলেও প্রত্যেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে আগের পাওনা বেতন-ভাতা সুবিধা ও পেনশন ভাতার পাওয়ার কথা চিন্তা করেছিলাম, সেখানে বর্তমান বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই বিষয়টি খুবই অমানবিক হয়েছে। এর ফলে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার জন্য সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অর্টিকেল নং ২৬, ২৭, ৩১ ধারা সঙ্গে ৪৪ ধারা অনুযায়ী আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেতনভাতা স্থগিতের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের স্টে অর্ডার (রিট পিটিশন নং ২৭৭১/২০২২) দেয়া হয়েছে। এতদসত্ত্বেও আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। মানবিক দিক বিবেচনা করে, রিট পিটিশন নং ২৭৭১ (২০২২) এর স্টে অর্ডারের পক্ষে ও চূড়ান্ত শুনানি ও রায় দেয়ার আগে বেতন-ভাতা স্থগিত বন্ধ রেখে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত আগের হারে বেতন-ভাতাদি চলমান রাখা এবং কর্তন বা স্থগিতকৃত বেতন-ভাতা ফেরত দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।