পরিচালকের কোমরে রশি: শিল্প পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম

ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সীমা অক্সিজেন প্লান্টের পরিচালকের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে শিল্প পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে মালিকপক্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার, হ্যান্ডকাপ ও কোমরে দড়ি বেঁধে অপমান করার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)। সমাবেশে পুলিশের নিন্দনীয় ও অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে সীমার পরিচালকের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
বিএসবিআরএর সভাপতি মো. আবু তাহের জানান, সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, আহতদের পাঁচ লাখ ও দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মোট এক কোটি ১৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মালিকপক্ষ। এরপরও সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা কেন করা হলো তা বোধগম্য নয়। এ কারখানা থেকে কোভিডকালে বিনামূল্যে হাজার হাজার সিলিন্ডার অক্সিজেন দেয়া হয়েছিল। বিএসবিআরএর সদস্য ও সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালককে গ্রেপ্তার ও কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেয়ার ঘটনা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের জিইসি মোড় থেকে পারভেজ উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম ইউনিট। বুধবার চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত পারভেজ উদ্দীনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। গত ৪ মার্চ বিকেলে কদমরসুলপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওইদিন ছয়জন নিহত হন৷ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট সাতজন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- শামছুল আলম (৫৬), মো. ফরিদ (৩৬), রতন লকরেট (৪৫), আবদুল কাদের (৫৮), মো. সালাহ উদ্দিন (৩০), সেলিম রিচিল (৪০) ও প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫)। আহত হন অন্তত ২৫ জন।