বিরোধীরা মিথ্যার ধুয়া তুলে ঝামেলার চেষ্টা করে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম

সোমবার বিকেলে রাজধানীর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে

সোমবার বিকেলে রাজধানীর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা/পিএমও



দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু বিরোধী দল মিথ্যার ধুয়া তুলে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করছে। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেছেন, প্রতিনিয়ত সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। এর আগে তো এতো টেলিভিশন ছিল না, এতো রেডিও ছিল না। আমরাই সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি। দেশ বিদেশ থেকে বসে বসেও আমাদের সমালোচনা করে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে আমাদের সমালোচনা করে। আবার শুনতে হয়- কিছুই করি নাই।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন দেশ এগিয়ে যাবে। এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে। ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এটাকে কিছু করতে পারব। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেটা মোকাবিলা করবে আমাদের জনগণ।’
তিনি আরও বলেন, অবশ্য ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেকেই সমালোচনা করছেন। বিদেশে বসেও অনেকে সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমার বাবা-মাকে হত্যা করেছে। আমার ওপর গ্রেনেড হামলা করেছে তাদের সঙ্গে কিসের বৈঠক। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেলে আমি সহানুভূতি জানাতে গেলাম আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হলো না। কীভাবে অপমান করলো। এদের সাথে কোনো বৈঠক হতে পারে না।

বিএনপির আমলে আটক হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, যে পুলিশ সদস্য অস্ত্র আটক করেছিলো তাকেই শাস্তি দেয়া হয়েছিলো। বিএনপির জন্ম অস্ত্র হাতে। অস্ত্র হাতে নিয়ে খুনের মাধ্যমে বিএনপির জন্ম হয়েছে।
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনিও কিন্তু পোড় খাওয়া মানুষ। ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ করে জেল খেটেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার সততা আছে। ব্যক্তিত্ব আছে। তিনি অবশ্যই একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করবেন।রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান হচ্ছে কৃচ্ছতা সাধনের মাস। আমাদের সেই কৃচ্ছতা সাধনতো করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ব্যাপারে অনেকের কাছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে। অনেক সময় এই সুযোগ পেয়েও গ্রহণ করে না। যেহেতু করোনা দেখা দিল, তখন একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব অনেকের ছিল যে এটা এখনই গ্রহণ করা সম্ভব কি না। আমি কিন্তু বলেছি, আমরা পারব। যে কারণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এটা অনুমোদিত হয়ে গেছে। কাজেই আমরা সেই সুযোগ নিয়েছি।’
গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী।