অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে যায়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা/পিএমও

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন ও অন্যরা। ছবি: ফোকাস বাংলা/পিএমও
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করছি। তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নন, জনগণের সেবক মনে করতেন।
[caption id="attachment_410176" align="aligncenter" width="1600"]
তিনি আরো বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না, এটা জাতির পিতাই প্রথম বলেছিলেন। শুধু বলেননি, তিনি নিজেও কাজ করতেন। গণভবনে তখন ২৩ মণ আলু হয়েছিল। জাতির পিতা আর কয়েক বছর সময় পেলে আরও অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হতো। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। যে দেশে সামরিক একনায়করা ক্ষমতায় আসে, সেখানেই তারা দুর্নীতিকে নীতিতে পরিণত করে। কারণ তাদের মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা থাকে না।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত; তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি। দেশের সমৃদ্ধি ও সুশাসনই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের নবীন কর্মকর্তাই হবেন ৪১-এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সে দায়িত্ব বর্তায় নবীন কর্মকর্তাদের ওপর।
কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি উল্লেখে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কারণে কয়টি দেশ এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি, তাতে এসডিজির অনেক লক্ষ্যই বাস্তবায়ন করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি ব্যবহারসহ সবক্ষেত্রে আমাদের সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে; নজর দিতে হবে উৎপাদন বাড়ানোর দিকে। ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলবে, তা জানা নেই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।