জনসংখ্যা বাড়লেও পাঠাভ্যাসটা বিকশিত হয়নি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
তখন মেলা উপলক্ষে এখনকার মত বই বের হতো না, মূলত বছরের অন্যান্য সময়ে বেশি বই বের হতো। তবে, বছরের অন্যান্য সময়ে প্রকাশিত বই মেলায় বিক্রি হতো। আমার প্রথম কবিতার বইটি বিক্রি হয়েছিল ১৯৮৫-এর একুশের গ্রন্থমেলায়, প্রকাশকের স্টলসহ অন্যান্য স্টলে। তখন এক প্রকাশকের বই অন্য প্রকাশকের স্টলে বিক্রি করা যেত। ১৯৮৪ সালের মেলায় বইয়ের মোট স্টল ছিল ৯৪টি আর এখন কয়েক শত!
বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এবারের বইমেলা আগের বছরের চেয়ে বড় হয়েছে। কিন্তু বই বিক্রি মনে শুরুই হয়নি এখনো। মনে হচ্ছে সামগ্রিকভাবে বইয়ের পাঠক কমেছে এবং জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠাভ্যাসটা ওভাবে বিকশিত হয়নি। এমনিতে বইমেলা স্বাভাবিকভাবে ভালো, গোছানো। হাঁটাচলা করা যাচ্ছে অনায়াসে। ভালোই লাগছে।
তখনকার মেলা কেমন ছিল জানতে চাইলে এই কবি বলেন, মজার নয়, আজ অন্য ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানাই। ১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলে আমি ‘খাজনা দিলাম রক্তপাতে’ নামের গণমুখী ছড়ার বইটি নিজের উদ্যোগে প্রকাশ করি। বইটিতে যে ধরনের ছড়া ছিল-তা কোনো প্রকাশক বের করবে না ভেবে নিজেই উদ্যোগী হই। প্রথমে কোনো প্রেস ছাপতে চায়নি। পরে প্রেসের নাম না লেখার শর্তে মতিঝিলের মধুমতি মুদ্রণালয় থেকে হাতে লিখে ট্রেসিংয়ে অফসেটে বইটি ছাপিয়ে ছিলাম। এরপর বাঁধাই করা নিয়ে ঝামেলায় পড়লাম! অবশেষে নয়া পল্টনের নীলাচল প্রেসের তত্ত্বাবধানে বইটির বঁাঁধাই সম্পন্ন হয়েছিল। বইটি ছাপাতে গিয়ে মনে হলো এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে! ১৯৮৬ সালের একুশের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমির পুকুর পাড়ে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া টেবিলে রেখে বইটি বিক্রি করা হয়েছিল।