‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণা’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা মজুদদারী, কালোবাজারি এবং যারা এল সি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিব।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্বারিত প্রশ্নোত্তরে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবের একথা বলেন তিনি।
প্রশ্নকর্তা দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির জন্য নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যপণ্য কেনার ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে জানিয়েছে অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তির জন্য সমবায় মালিকানার উপর গুরুত্ব দিবেন কীনা- সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসলে আমাদের দেশের অর্থনীতি তিন ধরনেরই আছে; সরকারি, বেসরকারি এবং সমবায় ভিত্তিক। আমাদের সমবায় ভিত্তিক কিন্তু আছে, নেই তা না। তবে এখানে ভোগ্য পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারছি যে সারা বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দারুন অভাব দেখা দিবে; এজন্য আমরা শুরু থেকেই সকলকে আহ্বান করছি প্রত্যেকে যার এক ইঞ্চি অনাবাদী জমি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে আবাদ করা হোক এবং উৎপাদন করা হোক। ফসল, ফলমূল তরিতরকারি, শাকসবজি যে যা পারুক উৎপাদন করেন। গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কবুতর, কোয়েল যে যা পারেন সকলে লালন পালন করেন। আমাদের খাদ্যের চাহিদা যেন আমরা নিজেরা নিজেদের আওতায় রাখতে পারি সে ব্যবস্থাটা নিয়েছি।
তিনি বলেন, এই আহবান করার পরে কিন্তু এখন আসলে সমগ্র দেশেই একটা উৎসব দেখা দিচ্ছে। আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং সকল দেশের মানুষই কিন্তু কিছু কিছু উৎপাদন করেছে। দেশের মানুষের ভোগ্য পণ্যের অধিকার যাতে নিশ্চিত থাকে সেজন্য ভোগ্য পণ্য অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সালে আমরা পাস করেছি। তারই অধীনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয়- সকল ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে; যাতে করে মানুষের কষ্ট না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু আমি মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে একমত আমাদের কিছু ব্যবসায়ী যারা এই ভোগ্য পণ্যের ব্যবসা করেন; আসলে এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় রোজা রমজান মাসে কিংবা বিভিন্ন চাহিদার মাসে তারা যে করেই হোক জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে উৎসব পার্বনে সব সময় তারা দাম কমায়। আর আমাদের দেশে দেখি উল্টো। শুধু তাই নয়, অনেক সময় তারা পণ্য আমদানি করতে একটু ঢিলেমি করে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে চাহিদা বাড়িয়ে তারপর তারা ব্যবসা করতে চায়। এটা আসলে অমানবিক। যারা মজুদদারী, কালোবাজারি এবং যারা এল সি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিব।