দুদকের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার ১৬ বছর কারাদণ্ড

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম

ফাইল ছবি
রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদকের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার ওমর ফারুককে পৃথক তিন ধারায় ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া একই মামলায় ওমর ফারুকের স্ত্রী নাজমা বেগমকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে এক ধারায় ওমর ফারুককে ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আরেক ধারায় ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারভোগ করতে হবে। অপর এক ধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নাজমা বেগমকে এক ধারায় ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আরেক ধারায়ও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরো এক মাস কারাভোগ করতে হবে।
আসামিদের দেয়া সাজা পৃথক পৃথকভাবে চলবে। এক্ষেত্রে ওমর ফারুককে ১৬ বছর এবং স্ত্রীকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ আদালত। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এজন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর তারিখে ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি পে অর্ডার নগদায়নের জন্য বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট লি. এর প্রধান শাখায় যাই আসামিরা। তারা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পে অর্ডার তৈরি করে অবৈধভাবে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে ১০ কোটি টাকা এবং পে অর্ডারটি নগদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করে টাকা আত্মসাতের অপরাধ করেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের এজিএম সাদিকুর রহমান মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের উপ সসহকারি পরিচালক ফেরদৌস রহমান ২০২০ সালের ৯ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উল্লেখ্য, ওমর ফারুক মৃধা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের উত্তর মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ মৃধার ছেলে।