রাজধানীর কলাবাগানে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানি পেছানো হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটি চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ চার্জশুনানির পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জশুনানির জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে এদিন এরফান সেলিম আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে পূর্ব শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে কারাগারে থাকা এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর ও রিপন কাজী।

২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক।