জজ মিয়াকে কেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১২ এএম

জজ মিয়া। ফাইল ছবি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় কেন তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার, আটক ও বন্দি রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
সব বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার শুনানি নিয়ে গতকাল আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
রিটে উল্লেখ করা হয়, জালালকে ‘জজ মিয়া’ সাজিয়ে বিনা অপরাধে ৪ বছর কারাগারে রাখায় তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এ রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক খোদা বকশ চৌধুরী, তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ওসিসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয় এবং জালালকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েকশ নেতাকর্মী। শুরু থেকেই এই গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা হয়। প্রথমে শৈবাল সাহা পার্থ, পরে আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়। তা না পেরে নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় মো. জালালকে। তাকে দীর্ঘদিন রিমান্ডে রেখে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে এ মামলায় তাকে জজ মিয়া সাজিয়ে কারাগারে রাখা হয়। ২০০৯ সালের জুনে তিনি মুক্তি পান। কোনো দোষ ছাড়াই তাকে প্রায় ৪ বছর কারাগারে রাখা হয়।