কৈলাসে ফিরলেন দুর্গা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০৬:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার রাজধানীর ওয়াইজঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। ছবি: ভোরের কাগজ


বুধবার দুর্গার বিদায়ে আবির মেখে আনন্দে মেতে ওঠেন নারীরা। ছবি: ভোরের কাগজ


বুধবার ওয়াইজঘাট বিজয়া দশমীর দিন মা দুর্গাকে বিসর্জন দেয়া হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

রাজধানীর ওয়াইজঘাটে প্রতিমা বিসর্জন। ছবি: ভোরের কাগজ

রঙের উৎসবে আনন্দ ভাগাভাগি। ছবি: ভোরের কাগজ

বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের আহে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নৃত্য, গীতে, রঙ খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দুরা। ছবি: ভোরের কাগজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে আজ বুধবার বিজয়া দশমীর দিনে। মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বামীগৃহ কৈলাসে পৌঁছেছেন সবে। প্রতিমা বিসর্জনের প্রতীকী যাত্রায় অশ্রুসজল নয়নে মা দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এর মাধ্যমে শেষ হলো পাঁচদিনের শারদীয় উৎসব।
[caption id="attachment_373480" align="aligncenter" width="700"]
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিদায় বেলায় বিহিত পূজা, আরাধনা এবং সধবা নারীর সিঁদুর খেলার আচারানুষ্ঠানে মুখরিত হয় দেশের বিভিন্ন এলাকার পূজা মণ্ডপ। সিঁদুরের রঙে মাখামাখি হয়েছে ভালোবাসা। মেলবন্ধন গড়ে উঠেছে নারীদের। ছোট ছোট শিশুদের কপালেও লাল তিলক দেখা গেছে।
[caption id="attachment_373482" align="aligncenter" width="700"]
এদিন বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় বিসর্জন ঘাট ওয়াইজ ঘাটে ভিড় করেছেন ভক্ত ও অনুরাগীরা।
[caption id="attachment_373477" align="aligncenter" width="700"]
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর নানা বিধিনিষেধে আবদ্ধ ছিল দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। সংক্ষিপ্ত আয়োজনের কারণে বেশিরভাগ স্থানেই হয়নি সিঁদুর খেলা ও বিসর্জনের শোভাযাত্রা। করোনা কমে যাওয়ায় এবার রঙিন আয়োজনে মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
[caption id="attachment_373486" align="aligncenter" width="700"]
সকালে দশমীর বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনে শেষ হয় দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন। পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়। এরপর দেয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি।
দর্পণ বিসর্জনের সময় প্রতিমার সামনে একটি আয়না রেখে তাতে দেবীকে দেখে তার কাছ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বিদায় নেন ভক্তরা। মূলত এ আচারকেই দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন বলে। এছাড়া মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে প্রতিমা থেকে ঘটে এবং ঘট থেকে আবার ভক্তের হৃদয়ে মাকে নিয়ে আসাও বিসর্জনের আচার। দর্পণ বিসর্জনের পর মণ্ডপে চলে মা দুর্গাকে বরণ। জরা কাটিয়ে পৃথিবী যেন শস্য শ্যামল হয়ে ওঠে সেই প্রার্থনাও হয়। বাজে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ ও উলুধ্বনি।
আর দুর্গার চরণে সিঁদুর দিয়ে সেই সিঁদুর এক নারী পরিয়ে দেন আরেকজনের কপালে। বিকালে শঙ্খ ও উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাক-ঢোলের সনাতনি বাদ্যে দেবী বন্দনার গানে গানে হয় বিজয়ার শোভাযাত্রা। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে ভক্তরা যান বুড়িগঙ্গার তীরে। নদীর বুকে জয় বিভিন্ন প্রতিমা বিসর্জন।