রাকিব হত্যা: পানছড়িতে দুই আসামি আটক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:২০ পিএম

আটককৃত প্রধান আসামি আরিফ। ছবি: ভোরের কাগজ

অপরাপর দুজন আসামি জুলহাস ও আরিফ। ছবি: ভোরের কাগজ
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর রাকিব হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুজনকে আটক করেছে করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পানছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল রাকিব হোসেন। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি রাতে মোটরসাইকেলে তার বন্ধু সঙ্গীয় আরিফসহ পানছড়ি বাজার থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে সঙ্গীয় আরিফকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে নিজ বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা ধারালো অস্ত্র দ্বারা মাথার কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাকিবকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরবর্তীতে (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করালে গত বছরের ২০ জানুয়ারি বুধবার ভোরবেলায় মারা যায় সে।
পরবর্তীতে রাকিবের বাবা আলী হোসেন বাদী হইয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পানছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করে। চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলা বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম জেলার পিবিআইয়ের ওপর তদন্তভার ন্যস্ত হয়। মামলাটি চট্টগ্রাম পিআইবির হাতে যাওয়ার পর তদন্তভার দেয়া হয় উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ দাশকে।
[caption id="attachment_367379" align="aligncenter" width="700"]
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিতোষ দাশ বলেন, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) বনজ কুমার মজমুদার ও চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ১ নং স্বাক্ষী আরিফকে আটকের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন শুরু হয়। ১৬৪ ধারায় তার দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী রাঙ্গুনিয়া থেকে আটক করা হয় জুলহাসকে। দুজনেই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনে এখনও কাজ চলছে।
আটককৃতরা পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের আলী নগর গ্রামের বাহাদুর মিয়া ছেলে আরিফ ও কালামের ছেলে জুলহান ছিল রাকিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। এ প্রসঙ্গে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনচারুল করিম বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।