প্রত্যন্ত এলাকার হাজারো বন্যার্তকে খাবার দিল সিলেট শিক্ষাবোর্ড

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ১০:০০ পিএম

মঙ্গলবার দিনভর সিলেট-সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রামে ও আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার। ছবি: ভোরের কাগজ
প্রথমবারের মতো ত্রাণ পেয়ে খুশি সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার বন্যাদুর্গতরা। বন্যা কবলিত হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কেউ খাদ্য বা ত্রাণ না দিলেও মঙ্গলবার (২১ জুন) সেখানে খাবার নিয়ে পৌঁছে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, সিলেট পরিবার। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রামপুর, উজিরপুর, উদয়পুর, সিলেট সদরের টুকেরগাঁও, মাধবপুর ও বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, লামাকাজি এবং ওই এলাকার দুটি আশ্রায়ণ প্রকল্পে বন্যা দুর্গতদেরকে সহস্রাধিক প্যাকেট খাবার ও বিশুদ্ধ পানির বোতল বিতরণ করা হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাটিতে ত্রাণ পেয়ে খুশি ওই এলাকার বন্যার্তরা। কয়েকটি স্থানে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ গ্রহণ করেন।
[caption id="attachment_355481" align="aligncenter" width="1200"]
এদিন বেশ কয়েকটি গ্রামে ও আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকারের নেতৃত্বে সিলেট থেকে একটি কার্গো নৌকায় করে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ ও আলুর সমন্বয়ে এক হাজার ২০ প্যাকেট খাবার, দুই লিটার করে পানির বোতল ও শিশুদের জন্য বিস্কুট নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় যান বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, ওরা এত গরিব ও প্রান্তিক পর্যায়ের যে, এত ক্ষতির পরও অল্প ত্রাণ পেয়েই খুব খুশি। আর আমাদের খুশি এই কারণে, প্রত্যন্ত পল্লীতে এসে অল্প পরিমাণে ত্রাণ দিয়ে যেতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত পল্লীর বাসিন্দা হওয়ায় তাদের কেউ দেখছে না। এ কারণে বিবেকের তাড়নায় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি আমরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব কবির আহমদ, কলেজ পরিদর্শক ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নিহার কান্তি রায়, সহকারী কলেজ পরিদর্শক আবুল কালাম, স্কুল পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সহকারি স্কুল পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ড এম্প্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি নিরঞ্জন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেকে।