জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো খুলনার তরুণরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের নবোদয় প্রকল্পের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে খুলনার তরুণরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) খুলনার চালনা পৌরসভায় অনুষ্ঠিত “তারুণ্যের সংলাপ: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তরুণদের ভাবনা কী?” শীর্ষক অংশীজন সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তিনটি প্রতিশ্রুতি লিখে প্রতিশ্রুতির দেয়ালে স্থাপন করেন এবং সবাই মিলে পরিবেশ সংরক্ষণে শপথ গ্রহণ করেন।
এরপর জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন টিমের সিনিয়র ম্যানেজার ইফতিখার-উল-করিম উপস্থিত সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান: “আমি শপথ করছি যে, আমি বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে রক্ষা করব। আমি কার্যকর ভূমিকা পালন করব, অন্যদের অনুপ্রাণিত করব। আমি আমাদের দেশকে একটি টেকসই এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি পরিবেশের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তিনি বলেন, “জাগো ফাউন্ডেশন সারা দেশে যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষত খুলনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। উন্নত দেশগুলো নিজেদের বন সংরক্ষণে আমাদের দেশ থেকে কাঠ কিনলেও, আমরা বনাঞ্চল ধ্বংসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নই। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বন সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।”
আরো পড়ুন: ইউসিবিতে নতুন ইউকে ডিগ্রি প্রোগ্রামের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- হিড বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের রিজিওনাল ম্যানেজার রতন কুমার অধিকারী এবং সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম।
রতন কুমার অধিকারী বলেন, “এই অঞ্চলে ৩০-৪০ বছর আগে খেজুর গাছের মিষ্টি রস এবং খালের বড় বড় মাছসহ অনেক বৈচিত্র্যময় উৎপাদন ছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব সম্পদ এখন আর সেই পরিমাণে পাওয়া যায় না। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। তাই এর প্রতিরোধে আমাদের তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”
সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম নিজের পেশাগত জায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, “সরকারি পর্যায়ে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য নেয়া প্রকল্পগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারার পরিবর্তন আনতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- কালীপদ মিস্ত্রি, প্রধান শিক্ষক, পার-জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোঃ আজিজুল হক, অপারেশন ম্যানেজার, নবজাত্রা প্রজেক্ট, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং মো. সাইফুল আলম, ডিস্ট্রিক কোঅর্ডিনেটর, ইয়ুথ নেট। এছাড়াও যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, নবোদয় প্রকল্পের অংশগ্রহণকারী এবং বিভিন্ন তরুণ ক্লাইমেট লিডাররা বক্তব্য প্রদান করেন। তারা সবাই তরুণদের নেতৃত্বে পরিবেশ সংরক্ষণের আহ্বান জানান এবং অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন।