রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি যুব ঐক্য পরিষদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: ভোরের কাগজ
মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ। পাশপাশি দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ, শারদীয় দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিন ১০ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের দাবিও জানায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনটি।
গতকাল রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি। সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, মতিলাল রায়, বলরাম বাহাদুর, জহরলাল দাশ, শ্যামল কুমার কুণ্ড, সুজন রায়, কৃষ্ণ সূর, তাপস রায়, সজীব সরকার, অপূর্ব নন্দ রায়, দীপঙ্কর চন্দ্র শীল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলার কথিত ঘটনার দিন ও সময় ১৯ জুলাই বেলা আনুমানিক ২টার দিকে রাণা দাশগুপ্ত চিকিৎসার্থে কলকাতায় ছিলেন। ওই দিন বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে তার ক্রমিক নম্বর- ২২। ঢাকার মিরপুর থানায় দায়েরকৃত আরেকটি হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে তার ক্রমিক নম্বর- ৩২৬। ওই মামলার কথিত ঘটনার দিন ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন। বক্তারা বলেন, মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রগণ্য নেতা হিসেবে রাণা দাশগুপ্তের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্যে এ দুই মামলায় পরিকল্পিতভাবে তাকে জড়ানো হয়েছে।
সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, ধর্ম অবমাননার কল্পিত অভিযোগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনে উৎসব মণ্ডলকে একদল সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। এ সব ঘটনার জন্যে দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে স্বর্ণা দাস ও জয়ন্ত কুমার সিংহ নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
আরো পড়ুন: হত্যা মামলায় শাহরিয়ার কবির রিমান্ডে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার তারিখ শারদীয় দুর্গাপূজোর সপ্তমীর দিন ১০ অক্টোবর নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নেতারা তা পরিবর্তনের দাবি জানান। এছাড়া পাহারায় দুর্গাপূজা আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করে তারা বলেন, স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার বিরোধিতা করা হলে তা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে। পাহারায় পূজা হবে অর্থহীন।