ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে মিশর-জর্ডানকে বাধ্য করবেন ট্রাম্প!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ এএম

ফিলিস্তিনিরাসহ আরব দেশগুলো এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব গ্রহণ করতে মিশর ও জর্ডানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে তার একটি মন্তব্য ঘিরে এমন আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলছেন, দেশ দুটি প্রস্তাব মেনে নেবে। কারণ আমেরিকা তাদের জন্য অনেক কিছু করে।
সম্প্রতি ট্রাম্প মিশর ও জর্ডানকে প্রস্তাব দেন গাজার বাসিন্দাদের এই দুই দেশে পুনর্বাসন করতে। গাজার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তাদের জন্য সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, এই যুক্তিতে ওই দুই দেশকে ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। তবে গত বুধবার দেশ দুটি ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
শুক্রবার টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিসে ফটো সেশনের সময় মিশর ও জর্ডান প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা এটা করবে (প্রস্তাব মেনে নেবে)। তারা এটা করবে। তারা এটা করতে যাচ্ছে, ঠিক আছে?’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের (মিশর ও জর্ডান) জন্য অনেক কিছু করি, এবং তারা এটি করতে চলেছে।’
আরো পড়ুন : ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ ছিল ক্রীতদাসদের জন্য: ট্রাম্প
তার এই বক্তব্য ঘিরে আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরও মিশর ও জর্ডানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কীভাবে সেই সৃষ্টি করবেন সেটা অচিরেই বুঝা যাবে হয়ত।
ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
নেতানিয়াহুসহ তার সরকারের কয়েক মন্ত্রী ও উগ্রপন্থিরা অনেক দিন ধরেই ফিলিস্তিনিদের যে কোনো উপায়ে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে চাইছে। তবে ফিলিস্তিনিরাসহ আরব দেশগুলো এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতেহ আল-সিসি বলেছেন, এই প্রস্তাব মিশরের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে। এটি কখনোই মেনে নেয়া হতে পারে না।