পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন তিন তরুণী ইসরায়েলি জিম্মি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম

আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়া ওই তিন জিম্মিকে। ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে কার্যকর হওয়া চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়া ওই তিন জিম্মিকে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ইসরায়েলে পৌঁছেছেন তারা।
ইসরায়েলের টেল হাশোমার হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইয়েল ফ্রাঙ্কেল-নির জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। এতে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েল তিন তরুণীর নাম নিশ্চিত করেছে। জিম্মিরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া এই তিন নারী জিম্মি কারা?
• রোমি গোনেন
মুক্তি পাওয়া ২৪ বছর বয়সী রোমি গোনেনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা সংগীত উৎসব থেকে ধরে নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা। নৃত্যশিল্পী গোনেন সেদিন সংগীত উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন। হামাস যোদ্ধাদের হামলার সময় সংগীত উৎসবের স্থানে কয়েক ঘণ্টা ধরে পালিয়ে ছিলেন। পরে হামাসের যোদ্ধাদের বন্দুকের গুলি তার হাতে বিদ্ধ হয়।
সংগীত উৎসবে হামাসের অতর্কিত হামলার সময় মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আজ মারা যাচ্ছি।’ পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে হামলাকারী হামাস যোদ্ধাদের আরবিতে বলতে শুনেছিলেন, ‘তিনি বেঁচে আছেন, তাকে নিয়ে চলুন।’ এরপর তার ফোনটি গাজা উপত্যকার একটি স্থানে পাওয়া যায়।
• ডোরোন স্টেইনব্রেচার
৩১ বছর বয়সী ইসরায়েলি এই নারী পেশায় ভেটেরিনারি নার্স। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিব্বুৎজের কাফার আজা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ডোরোনকে ধরে নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা। দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়া এলাকাগুলোর একটি এই কিব্বুৎজ।
হামাসের হামলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ডোরোন তার বাবা-মাকে ফোন করে জানান, তিনি ভয় পাচ্ছেন এবং বন্দুকধারীরা তার ভবনে ঢুকেছেন। এরপর বন্ধুদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘তারা (হামাস যোদ্ধার) পৌঁছেছেন, তারা আমাকে ধরেছেন।’
• এমিলি ডামারি
২৮ বছর বয়সী এমিলি ডামারি ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। একই দিনে কিব্বুৎজের কাফার আজা এলাকার বাড়ি থেকে তাকেও ধরে নিয়ে যায় হামাস। লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন এবং টটেনহ্যাম হটস্পার ফুটবল দলের ভক্ত তিনি। তার মায়ের মতে, ডামারির হাতে গুলি ও পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। পরে চোখ বেঁধে তার গাড়ির পেছনে করেই গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।