অস্ত্র আসছে না সিরিয়া দিয়ে, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, সঙ্কটে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ চায় হিজবুল্লাহ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ইরান থেকে লেবাননের হিজ়বুল্লার কাছে অস্ত্র এবং অন্যান্য সহায়তা এত দিন সিরিয়া হয়ে পৌঁছাতো। বাশার আল-আসাদ সরকারের সময়ে সিরিয়া ও হিজ়বুল্লার সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ এবং সিরিয়া ইরান এবং হিজ়বুল্লাকে সমর্থন জানাত। তবে, সিরিয়া বিদ্রোহীদের হাতে বাশার সরকারের পতনের পর এই সরবরাহ পথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিজ়বুল্লার শীর্ষ নেতা নইম কাশেম আশাবাদী যে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসন তাদের জন্য পুরনো সরবরাহ পথ পুনরায় খুলে দেবে।
কাশেম বলেন, বাশার সরকারের পতনের পর সিরিয়া দিয়ে আমাদের অস্ত্র সরবরাহের যে রুট ছিল, তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, নতুন প্রশাসন সেই রুটটি আবার চালু করবে। যদি সেটা না হয়, তবে আমরা বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছি।
এছাড়া, কাশেম সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ারও অনুরোধ করেছেন। তিনি জানান, আমি আশা করি, সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ ইজ়রায়েলকে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে।
বাশার সরকারের পতনের পরই ইজ়রায়েল একের পর এক হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ায়। সমগ্র গোলান মালভূমি-সহ দক্ষিণ সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ দখল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ধারাবাহিক বিমানহানায় ইজ়রায়েল ধ্বংস করে দিয়েছে সিরিয়ার অধিকাংশ সামরিক পরিকাঠামো। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের দিকে এগোচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনা। সিরিয়ায় পালাবদলের পরেই নেতানিয়াহু সরকার জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা প্রতিরোধে একটি ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ (বাফার জ়োন) গঠন করা হবে। আর তা হবে সিরিয়ার ভূখণ্ডে! ইজ়রায়েলি আক্রমণ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিদ্রোহী বাহিনীর নেতা আবু মহম্মদ আল-জুলানি। ইজ়রায়েলি বিরোধিতায় সেই সুযোগই কাজে লাগাতে চাইছেন হিজ়বুল্লা প্রধান।