সিরিয়ায় মিললো কথিত আয়নাঘরের মতো বন্দিশালা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটিতে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উঠে আসছে। বিশেষ করে আসাদ সরকারের শাসনামলে, বিদ্রোহীদের দমন করতে নানা ধরনের নির্মম নির্যাতনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটি অন্যতম ছিল বন্দিশালা, যেখানে বন্দিদের ওপর ভয়ানক নির্যাতন চালানো হতো।
জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক লিনিয়া আর্ভিডসন সম্প্রতি জানান, বাশার আল-আসাদের শাসনামলের বন্দিশালাগুলোর চিত্র এতটাই ভয়ঙ্কর যে, তা দেখলে রক্তক্ষরণ হয়। তবে তিনি আরও বলেন, এই চিত্র আশ্চর্যজনক নয়, কারণ ২০১১ সাল থেকে জাতিসংঘের দল সিরিয়ার বন্দিশালাগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিল। সাবেক বন্দিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে যে তথ্য তারা সংগ্রহ করেছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে মিলে গেছে।
লিনিয়া আর্ভিডসন বলেন, এই বন্দিশালাগুলি আসলে আন্ডারগ্রাউন্ড, এবং সেখানে কোনো জানালা নেই। বন্দিরা সেখানে বছরের পর বছর, এমনকি দশকের পর দশক সূর্যের আলো না দেখেই কাটিয়েছে। সাবেক বন্দিরা যেসব নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, তা এখন বাস্তবতা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘের এই নতুন রিপোর্টে সিরিয়ার ভয়াবহ বন্দিশালার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যা একদিকে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী, অন্যদিকে এটি পৃথিবীজুড়ে মানবিক সঙ্কটের এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা।
এদিকে, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস (হায়াত তাহরির আল-শাম) আসাদ সরকারের পতনে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের প্রধান সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, আসাদ সরকারের শাসনামলে যে সব কর্মকর্তা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারীকে পুরষ্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
এটি সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি আশার সংকেত হতে পারে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। এখন শুধু তাদের নির্যাতনকারীদের বিচার এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার অপেক্ষা।