সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ উঠেছে। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উচ্চাভিলাষী নিওম সিটি বাস্তবায়নের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে মেরে ফেলার ক্ষমতা দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে।
এবার তার বিরুদ্ধে আরো এক গুরুতর অভিযোগ ও কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তহবিল ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। ৯৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে দেশটির ভিন্ন মতাবলম্বী ব্যবসায়ী ও ধনকুবেরদের কোম্পানি ও সম্পত্তি জব্দ করছেন সৌদি যুবরাজ।
জব্দকৃত এসব সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন যুবরাজ বিন সালমান। এক দশক আগে যেখানে এই তহবিলের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার, সেখানে বর্তমানে এই তহবিলের সম্পদের পরিমাণ পৌঁছেছে ৯২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
আরো পড়ুন : 'গণহত্যা' নিয়ে সৌদির সমালোচনা, ইসরায়েলের উদ্বেগ!
পদাধিকার বলে পিআইএফের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ করছেন সৌদি যুবরাজ। ফলে তহবিলের অর্থ কোন খাতে কীভাবে ব্যয় হবে- সে সম্পর্কে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
পিআইএফের অধীনে সবচেয়ে বড় প্রকল্পের নাম ‘নিওম’। মরুভূমির বুকে অত্যাধুনিক নাগরিক পরিষেবা সম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক শহর এটি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি, নিওমসহ পিআইএফের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের অধিক সময় কাজ করতে বাধ্য করা, দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের ঘোরতর লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএফের বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন, তাদরে প্রায় সবাই অভিবাসী শ্রমিক কিংবা দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোর গরিব ও কর্মজীবী শ্রেণিভুক্ত মানুষ। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় গ্রহণের পর জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে জ্বালানি তেলের চেয়েও বেশি শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তার সৌদি যুবরাজ। এ লক্ষ্যে বড় বড় সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সৌদি প্রশাসন।