বিশ্বের কাছে ইসরায়েল তার কুৎসিত চেহারা দেখিয়েছে: খামেনি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি : সংগৃহীত
সারা বিশ্বের কাছে ইসরায়েল তার কুৎসিত চেহারা দেখিয়েছে এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানে ইরানের অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস সদস্যদের সঙ্গে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খামেনি বলেন, ইসরায়েল হামাসকে সমূলে উৎখাত করতে চেয়েছিল কিন্তু এর বদলে তারা গণহত্যা করেছে। হামাস এবং হিজবুল্লাহ এখনো গাজা ও লেবাননে লড়াই করছে, তা ইসরায়েলের পরাজয়ের ইঙ্গিত দেয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইসরায়েল ভেবেছিল তারা শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে স্তব্ধ করতে পারে, কিন্তু হামাস লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ ইহুদিবাদী শাসকের পরাজয় হয়েছে।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা ও লেবাননে নিহত শতাধিক
তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে, হিজবুল্লাহ বৈরুত, সিডন, টায়ার এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননের বেশিরভাগ এলাকাসহ অনেক ঘটনায় ইসরায়েলকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের একটি ছোট দল থেকে একটি বিশাল সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে গোষ্ঠীটির এমন একটি প্রতিপক্ষকে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে যা আমেরিকার রাষ্ট্রপতিদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমর্থিত।
তিনি বলেন, লেবাননের অভ্যন্তরে কিছু লোকসহ অনেকে হিজবুল্লাহকে দুর্বল মনে করছে। তারা ভাবছে যে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের অনেককে হত্যার পর এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা ভুল ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। হিজবুল্লাহ আর শক্তিশালী হয়েছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠন এবং যোদ্ধাদের সঙ্গে আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। শত্রুরা তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় এক লাখ মানুষ।