ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা ও লেবাননে নিহত শতাধিক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ এএম

চলমান এ হামলায় নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ও লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে বর্বর এ হামলায় লেবাননজুড়ে আরো ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা জুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। এর মধ্যে গাজার অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২ জন।
এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৪৬৯ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ২ হাজার ৫৬১ ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে যে অভিযান চালিয়েছে তাতে ৫৩ জন নিহত এবং আরো ১৬১ জন আহত হয়েছেন।
মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলে অভিনব এক আইন পাস!
হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১০৩ জন নিহত এবং প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় এক লাখ মানুষ।