লেবাননে শান্তিরক্ষীদের টাওয়ার গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪০ এএম

লেবাননে শান্তিরক্ষীদের টাওয়ার
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী রবিবার (২০ অক্টোবর) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণ লেবাননে তাদের একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার গুড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি ইসরায়েলি সেনা বুলডোজার ইচ্ছাকৃতভাবে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটি গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার সীমারা প্রাচীরগুলোও ভেঙ্গে ফেলেছে। আরব নিউজের।
এদিকে, লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। বিমান হামলার পাশাপাশি তারা স্থলপথেও হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছেন না দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরাও।
বেশ কয়েকটি হামলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। এমতাঅবস্থায় আবারো ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছেন শান্তিরক্ষীরা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোববার শান্তিরক্ষীদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে।
এতে শান্তিরক্ষীদের একটি ওয়াচ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন থাকা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে তাদের একটি অবস্থানে সরাসরি এবং স্পষ্টতই ইচ্ছাকৃতভাবে গোলাবর্ষণ করেছে।
লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) বলেছে, শান্তিরক্ষীরা দক্ষিণ লেবাননের কাফার কিলার কাছে ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাংক থেকে তাদের ওয়াচটাওয়ারে গুলা ছুড়তে দেখেছেন। এই হামলায় দুটি ক্যামেরা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং টাওয়ারটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার এই ঘটনাটি লেবাননে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ইসরায়েলি হামলার সাক্ষ্য বহন করে।
এর আগে গত সপ্তাহে ইউনিফিল জানায়, ইসরায়েলি সৈন্যরা দুটি ট্যাংকসহ ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যকার জাতিসংঘ-নির্দেশিত ব্লু লাইন অতিক্রম করে রামিয়াহ গ্রামের কাছে ইউনিফিল অবস্থানে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। পরে ইসরায়েলি সেনারা শান্তিরক্ষীদের দিকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। এতে ১৫ জন কর্মী আহত হন এবং গত শনিবার ইসরায়েলি সেনারা মেইস আল-জাবালের কাছে গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক চলাচলে বাধা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ১৯৭৮ সালে হামলার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে ইউনিফিল গঠন করা হয়েছিল। ইউনিফিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছেন।