ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় সায় নেই বাইডেনের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বাইডেন এ কথা বলেন। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল যদি প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়, তবে সে হামলাকে সমর্থন দেবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল কী করতে চলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বাইডেন এ কথা বলেন। খবর বিবিসি বাংলার।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ অক্টোবর) হারিকেন ‘হেলেনের’ তাণ্ডবে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ সময় একজন সাংবাদিক বাইডেনের কাছে জানতে চান, ইসরায়েল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে আপনি সমর্থন দেবেন কি না? বাইডেন সোজাসাপটা জবাব দেন, ‘না’।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এখন কী করতে চাইছে, তা নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জি–সেভেন জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইসরায়েলের জবাব দেয়ার অধিকার রয়েছে বলে তারা সবাই একমত হয়েছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর পর থেকে ইরান–ইসরায়েলের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেশির ভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোইশানের হত্যার জবাবে ইসরায়েলে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরানের দাবি।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাতে ওয়াশিংটনের সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ফলাফল এখনো দেখা যায়নি। বরং সংঘাত আরো বেড়েছে।
আরো পড়ুন : ইরান-ইসরায়েল সংঘাত কোন দিকে যাচ্ছে