শাহারুল ইসলাম সুজনের পাঁচটি শিশুতোষ ছড়া

শাহারুল ইসলাম সুজন
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

লেখক শাহারুল ইসলাম সুজন
ব্যর্থতাই শক্তি
হৃদয় জুড়ে অনেক আশা
স্বপ্ন দুচোখ ভরা,
লক্ষ্য পানে ছুটে চলি
হই না দিশেহারা।
চলতে গেলে আসবে বাধা
জ্বলতে হবে সদা,
ধুঁকতে হবে জটিল কুটিল
মাখতে হবে কাঁদা।
শুনতে হবে খারাপ কথা
সইতে হবে ব্যথা,
রাখতে হবে সাহস ধরে
দৃঢ় পণে যে তা।
সফলতা আসবে জানি
থাকলে অটল পথে,
শক্তি নিয়ে প্রাণের মাঝে
জাগব চেতন হতে।
প্রকৃতির ছোঁয়া
অরুণ আলোয় দীপ্ত আমি
তৃপ্ত হিমেল হাওয়ায়,
পূর্ণিমারই জ্যোৎস্না বিধুর
তপ্ত হৃদয় ভরায়!
পাখপাখালির গান যে মধুর
মনমাতানো তান,
বন বনানী হাওয়ার তালে
গাইছে যেন গান।
মাঠজাগানো ধানের রাশি
সরস তাহার স্বাদ,
তরুলতার শ্যামল রূপে
উপচে খুশির বাঁধ!
নদনদী আর ঝর্নাধারার
স্বর্ণা কলতান,
আকাশঝরা বারিধারা
করায় মাটি স্নান।
সবুজ শ্যামল দেশখানি এই
রবের মহাদান,
প্রকৃতিরই ছোঁয়া পেয়ে
সিক্ত সবার প্রাণ।
আমার দেশের চাষা
আমার দেশের চাষি বাজায়
সোনার মাটির বাঁশি!
কষ্ট করে ফলায় মাঠে
শস্য রাশি-রাশি।
রাত পোহালে গোয়াল থেকে
হালের বলদ নিয়ে,
সারা বেলা চষে মাটি
স্বপ্ন বুনে হিয়ে।
রৌদ্র তাপে সারা দেহ
ঘামের গন্ধ মাখে,
তুলবে ঘরে নতুন ফসল
কতই আশা থাকে!
বাদল ধারায় এই সাধকের
ক্ষেতটা যখন ভরে,
হাল ছাড়েনা তবু চাষা
হাড় খাটুনি করে।
সময় পেরোয়, চাষার সাধের
শস্য-দানা ফলে,
সুখ-দুঃখের গল্প চাষা
তাদের সাথে বলে।
ছোট্ট খোকা
ছোট্ট খোকা নয়তো বোকা
খুব সকালে জাগে,
বই খাতা আর কলম নিয়ে
পাঠশালে যায় আগে।
পাঠ্যবইয়ের পড়াগুলো
মনে পুষে রাখে,
সুযোগ পেলেই রং তুলিতে
কত্ত কিছু আঁকে!
পড়ার সময় পড়াশোনা
খেলার সময় খেলা,
ছোট্ট খোকার এই নিয়মে
হয় না কভু হেলা।
পিতা মাতা গুরুজনে
মান্য করে চলে,
হাসিমুখে প্রতিটা ক্ষণ
সত্য কথা বলে।
ভালোবাসা স্নেহ আদর
সবার কাছে পেয়ে,
ছোট্ট খোকার ছোট্ট জীবন
সুখে থাকে ছেঁয়ে।
খুকুর বায়না
খুকুমণি জেদ করেছে
খাবার খেতে চায় না,
মামার সাথে মেলায় যাবে
ধরছে কত বায়না।
কিনবে পুতুল হাতের চুড়ি
মাটির শখের হাঁড়ি,
কিনবে আরো বউ সাজানো
ছোট্ট দুখান শাড়ি।
মুড়ি মুড়কি হাওয়াই মিঠাই
খাবে সেথায় গিয়ে,
বন্ধু পেলে ভাব জমাবে
ভালোবাসা দিয়ে।
বাতাস ফুড়ে ঘূর্ণি দেবে
নাগরদোলায় করে,
নতুন রঙে মন রাঙিয়ে
ফিরবে শেষে ঘরে।