শিল্পকলার মঞ্চে ‘অদ্ভুত ভাস্কর্য’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নাটকের দল নৃ প্রাঙ্গণ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন করলো দলটির নতুন প্রযোজনার নাটক ‘অদ্ভুত ভাস্কর্য’। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন জুলফিকার চঞ্চল।
একজন কন্যা শিশুকে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন রকমের ঘাত-প্রতিঘাত ও নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়। তাদের বড় হওয়ার পথে প্রধান শত্রু নিজের দেহ। সমাজের চারপাশে তাকালে দেখা যায়, কন্যা শিশুগুলি নিজের পরিবারেও নিরাপদ নয়। কখনো কখনো তাদের কাছের আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের মানুষ দ্বারা নানা রকমের টিজ টোন এবিউজের শিকার হতে হয় তাদেরকে। পারিবারিক পারিপার্শ্বিকতা ও সামাজিক কারণে সেই ছোট্ট শিশুটি মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। কেউ কেউ বলতে চাইলেও পরিবার থেকে উল্টো তাকে নানা রকম কথা বলে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটিকে মনোকষ্ট নিয়ে বড় হতে হয়। বড় হওয়ার সাথে সাথে পুরুষের প্রতি তার মানসিকতারও পরিবর্তন আসে।
পুরুষকে আর কখনোই নিরাপদ মনে করতে পারে না সে। জীবন চলার পথে পরিবার রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নানা রকম শঙ্কা তার মনের ভেতর ক্ষতের সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পথ বাধাগ্রস্ত হতে হতে সে হয়ে ওঠে একজন নারী। এতো ঘাত-প্রতিঘাতের পরও তাকে কোন না কোন পুরুষকে বিশ্বাস করতে হয়। কখনো কখনো সেই বিশ্বস্ততার সুযোগে কেউ কেউ সেই নারীর জীবন নিরাপত্তাহীন করে তোলে। যেমন সব শুয়োপোকা প্রজাপতি হয়না, ঠিক তেমনই সব কন্যা স্বাভাবিক জীবন পায়না।
গল্পের চরিত্র তমার জীবনেও ঘটে এমন নানা ঘটনা। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তমা। দুই বোনের মধ্যে সে বড়। বাবার বন্ধুর দ্বারা খুব ছোটবেলাতেই তমা এবিউজের শিকার হয়। রাস্তাঘাটে টোন টিজের শিকার হয় প্রায় প্রতিদিন। ঘটনাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন সহপাঠীর দ্বারা শারীরিক সম্পর্ক করার পর, সেই সহপাঠিই একটা সময় তাকে ছেড়ে চলে যায়।
ধীরে ধীরে সেই থেকে মনের কষ্টে সাইকো প্যাশেন্ট হয়ে যায় তমা। আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কিন্তু আত্মহনন করতে পারে না। হঠাৎ তার মাথায় আসে, আত্মাহনন করতো কোন সমাধান হবে না। মনস্থির করে প্রতিশোধ নেবার। একরাতে ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখে- একটা প্রজাপ্রতি হয়ে পৃথিবীতে সে নিজেই তার নির্যাতনকারীদের শাস্তি দিচ্ছে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী। অভিনয় করেছেন বিবি ফাতেমা কানিজ ও আনহা নাহাররুন ওয়ার্দা।