গণসংগীত সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অনন্য হাতিয়ার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম



গণসংগীতের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছা যায়। গণসংগীত সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অনন্য হাতিয়ার। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণসংগীত আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সংগীতের এই ধারাটি ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৩-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা তিমির নন্দী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

প্রধান অতিথি বলেন, গণসংগীত বলতে আমরা ফকির আলমগীরকেই বুঝি। তিনি বাংলা গণসংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এবং এটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর প্রবর্তিত ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রেখে চলেছে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গণসংগীতের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনে গণসংগীতের অসামান্য অবদান রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো- গণসংগীতের সমৃদ্ধ ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরবর্তীকালে গণসংগীতের প্রতিবাদের ভাষা আরও সক্রিয় হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণসংগীত শিল্পীরা বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে।
পরে রাজধানীর গ্রীন রোডে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া-প্যাসিফিক এর স্থাপত্য বিভাগের ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এশিয়া প্যাসিফিক আয়োজিত ‘ওল্ড ঢাকা’ অ্যান্ড ‘ইউএপি অ্যাকোলেডস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।