বইমেলার প্রবেশপথে কড়াকড়ি, ভেতরে ঢিলেঢালা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম

অনেক স্টলে হতুড়ি ঠোকাঠুকির কাজ অব্যাহত থাকার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ছবি: ভোরের কাগজ

বইমেলা শুরু হওয়ার পরও অনেক স্টলে চলছে নির্মাণকাজ। ছবি: ভোরের কাগজ
বইমেলার স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি এবং প্রকাশকদের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মেলায় আগতদের সচেতনমূলকভাবে চলাফেরার আহ্বান জানানো হলেও তা মানছেন না অনেক বইপ্রেমীই। এ নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে মেলার ভেতরেও কড়াকড়ি নজরদারি আরোপ করা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মেলার তৃতীয় দিন ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। দায়িত্বরতরা প্রবেশ পথে কড়াকড়িভাবে মাস্ক পরা এবং তাপমাত্রা মেপে ঢুকতে দিলেও মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর অনেকে তা ঝুলিয়ে রাখছেন থুতনির নিচেই।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে বই কিনছিলেন বর্ষা আলমগীর। তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, গতবারও মাস্ক এবং গ্লাভস পরেই মেলায় এসেছিলাম। দেখা যাচ্ছে আমি সতর্কতা অবলম্বন করলেও অনেকেই তা মানছেন না। সামাজিক দূরত্বও মানছেন না। তাহলে আমি সতর্কতা অবলম্বন করে লাভ কি? সবাইকেই সতর্ক হতে হবে। এদিকে জরুরিভাবে কতৃপক্ষের নজরদারি রাখতে হবে।
[caption id="attachment_335552" align="aligncenter" width="700"]
মুক্তচিন্তার কর্ণধার শিহাব বাহাদুরসহ একাধিক প্রকাশক ভোরের কাগজকে বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে অনেকেই থুতনির নিচে মাস্ক ঝুলিয়ে ঘুরছেন, সেলফি তুলছেন। এটা ঠিক নয়। সবাই যদি সচেতনভাবে মাস্ক পরি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি তাহলে বইমেলায় কোনোভাবে ঝুঁকি তৈরি করবে না। প্রবেশমুখের মতো ভেতরেও আমাদের কড়াকড়ির চেয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
[caption id="attachment_335551" align="aligncenter" width="700"]
অবসর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সোহরাব বলেন, মেলা মাত্র শুরু হলো। লোকজন আসছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতেও বিক্রি ভালো হবে।
বরাবরের মতো মেলা সম্পূর্ণভাবে গুছিয়ে ওঠতে পারেনি। এখনও অনেক স্টলের কাজ সম্পন্ন হয়নি। হাতুড়ির ঠোকাঠুকি, মালামাল টানাটানি, সাজসজ্জার চলছেই। এত সবের মধ্যেও অনেক পাঠক এসেছেন এবং বইও কিনেছেন।