গার্মেন্টস ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে লাইভ শপিংয়ের সিইও আশিক খান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

লাইভ শপিংয়ের সিইও ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার আশিক খান
বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্প বর্তমানে এক চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত উৎপাদন, মজুদ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিলাসবহুল ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে দ্রুত ফ্যাশনের প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই সমাধানের পথ খুঁজছে। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন টন পোশাক তৈরি হলেও এর একটি বড় অংশ মজুদে পড়ে থাকে বা বর্জ্যে পরিণত হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার ব্র্যান্ডগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের দিকে ঝুঁকলেও কার্যকর সমাধানে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশের মতো পোশাক রপ্তানির শীর্ষ দেশেও এ সমস্যা গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে।
এ সমস্যার সমাধানে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছেন লাইভ শপিংয়ের সিইও ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার আশিক খান।
ডিমান্ড-বেইজড প্রোডাকশন মডেল প্রনয়নের মাধ্যমে গার্মেন্টস সেক্টরে এফোর্ডেবল ফ্যাশন ও পরিবেশবান্ধব পরিবর্তনের সূচনা করেছে আশিক খান। এই মডেলে কাস্টমারের চাহিদার উপর ভিত্তি করে উৎপাদন প্রক্রিয়া সাজানো হয়। মাত্র ৭০ শতাংশ কাঁচামাল ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানো হয় এবং বাকি ৩০ শতাংশ ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদন এবং ডেডস্টকের মতো সমস্যাগুলো কমে আসে।
আশিক খান এই মডেলকে ৭০/৩০ পদ্ধতি নামে চিহ্নিত করে বলেন, আমরা চাহিদার ভিত্তিতে উৎপাদন করি, ফলে অতিরিক্ত মজুদ বা পণ্য নষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকে না। এই মডেলটি পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার খরচ কমাতেও সহায়ক। এতে গ্রাহকরা এফোরডেবল প্রাইজে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক সাইজ ও মানসম্পন্ন পোশাক পেয়ে থাকেন।
লাইভ শপিংয়ের সিইও ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার আশিক খান
আশিক খান বলেন, আমার লক্ষ্য এমন একটি ব্যবসা মডেল তৈরি করা, যা শুধু লাভজনক নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এবং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলার মাধ্যমে একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।
লাইভ শপিং কেবল একটি ব্যবসা নয়; এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অস্থায়ী বাসস্থানের সুযোগ দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে লাইভ শপিং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি আউটলেট এবং দ্রুত হোম ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে দেশব্যাপী এফোর্ডেবল ফ্যাশন পৌঁছে দিচ্ছে।
আশিক খানের এই ডিমান্ড বেইজড প্রোডাকশন মডেল শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্পের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।