বোতলে পানি পানের আগে অবশ্যই যা জানতে হবে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পানির অপর নাম জীবন, তাই শরীরে কোনো কারণে পানিশূন্যতা হলে তৈরি হতে পারে জটিলতা। সুতরাং পানিশূন্যতা এড়াতে পূর্ণবয়স্ক নারী-পুরুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
ঘরের বাইরে গেলে অনেকেই পানির বোতল সঙ্গে করে নিয়ে বের হন। বিশেষ করে গরমের সময় দিনের বেলা পানি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা ভাবাই যায় না। বাড়িতে কাচের বা স্টিলের বোতল ব্যবহার করা হলেও বাইরে কাচের বোতল ব্যবহার করাটা একটু কঠিন।
অনেকেই এ সময়টাতে পানি পানের জন্য প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করেন। কেউ আবার পানি নেয়ার জন্য ব্যবহার করেন ধাতব পাত্র। প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধরনের বোতলে পানি পান করা স্বাস্থ্যকর। সে প্রশ্নের উত্তর মিলেছে মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনে।

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করার রয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদ। অন্যদিকে স্টিলের বোতল ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেয়াদের কোনো বিষয় নেই। স্টিলের বোতলে পানি রাখলে দীর্ঘ সময় ঠান্ডা বা গরম থাকে। অন্যদিকে প্লাস্টিকের বোতল মোটেই পরিবেশবান্ধব নয়। তাই প্রতিদিনকার ব্যবহারের জন্য স্টিলের বোতল সবচেয়ে উপযোগী ।
স্টিলের বোতলে ব্যবহার করার বেশ কিছু সুবিধা আছে এর একটি হচ্ছে, হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাওয়ার ভয়ও থাকে না। এই ধাতু পানির সঙ্গে কোনো বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। আবার পানির মধ্যে ধাতব কোনো গন্ধ বা স্বাদও থাকে না। এ ধরনের বোতলে পানির বদলে গরম চা কিংবা কফিও রাখা যেতে পারে।
অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি পানির বোতল স্টিলের চাইতে অনেকটাই হালকা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ঠান্ডা বা গরম যে কোনো ধরনের তরলের সঙ্গেই অ্যালুমিনিয়াম বিক্রিয়া করে। শরীরে অতিরিক্ত অ্যালুমিনিয়াম প্রবেশ করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের বোতল বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
একটা সময় ছিল যখন পানি রাখার জন্য সাধারণত মাটি কিংবা তামার পাত্রই ব্যবহার করা হত। অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ইদানিং তামার বোতলে পানি খান। তামার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো রাখতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে তামা পানির সঙ্গে বিক্রিয়া না করলেও অ্যাসিডযুক্ত যে কোনো তরলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। তাই সেই ধরনের কোনো পানীয়ের জন্য তামার পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো।
ধাতুর পাত্র স্বাস্থ্যকর হলেও কেনার সময়ে তার মান অর্থাৎ ‘ফুড গ্রেড’ দেখে তবেই কেনা উচিত। পাশাপাশি বোতল যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। বোতল পরিষ্কার না করলে অসুস্থ হতে পারেন।