স্ত্রী সন্তানসহ শাহজাহান খানের বিরূদ্ধে ৩ মামলা

বাসস
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, তার স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম, ছেলে মো. আসিবুর রহমানের বিরূদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার মেয়ে ঐশী খানের নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শাজাহান খান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।
এ ছাড়া তার নামে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে ওই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনকভাবে ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৬৯ টাকা লেনদেন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে শাজাহান খানের স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখায় সৈয়দা রোকেয়া বেগম ও শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধায়া, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় পৃথক একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শাহজাহান খানের ছেলে মো. আসিবুর রহমান তার পিতা শাজাহান খান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রাখায় আসিবুর রহমান ও তার পিতার শাজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় ধারায় পৃথক আরও একটি মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করায় এবং তার নামে ও বেনামে আরো সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।