অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা, সমন জারি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম

অনন্ত জলিলকে সমন জারি করেছে আদালত। ছবি: সংগৃহীত
গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে বিল পরিশোধ না করায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ নিয়ে সমন জারি করেন।
একইসঙ্গে আদালতে হাজিরের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রাফিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক বছর আগে ঢাকার আদালতে অনন্তসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজির হতে এ সমন জারি করেন।
আরো পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে হাইকোর্টে রিট
অনন্ত জলিল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো. মিলন ও সাইদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় গত ২৭ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরো পড়ুন: ‘এদেশের জন্য শেখ হাসিনাই উপযুক্ত’, ড. ইউনূসের মন্তব্য নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরো বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন।
এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।
আরজিতে আরো বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।