সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে। ছবি: ভোরের কাগজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিকে আদালতে শুনানিতে কামরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার এলাকা কেরানীগঞ্জ। নিউমার্কেট এলাকা আমার অধীনে না। ওই এলাকার এমপি আমি নিজেও না। এ মামলায় আমাকে ৫৬ নাম্বার আসামি করা হয়েছে। আমার নামটি হয়তো শেষ মুহূর্তে ভুলে এজাহারে লেখা দেয়া হয়েছে।’
এ কথা বলার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘উনি তো সব হত্যাকণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিংয়ে থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।’
আরো পড়ুন: বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
একথা শুনে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব দিন তো এক রকম যায় না। এই দিন, দিন না।’
এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।
এছাড়া আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার ঘুস নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কামরুল ইসলাম ঢাকা-২ আসন (সাভার-কেরানীগঞ্জ-কামরঙ্গীরচর) থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হন। এসময় তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে একই এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালে তিনি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন কামরুল ইসলাম।