আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ পিএম

হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
৬ দিনের রিমান্ডে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী। তিনি সদরের চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক তিন মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ তিন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গত ২০ আগস্ট ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে আদালতে হাজির করে ২৪দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালত শুনানি শেষে তিন মামলায় ৬দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মামা হন।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটোয়ারি।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্বরের দিকে যাচ্ছিল।
এসময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারণকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে নির্বিচারে গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর জের ধরে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতে থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাহউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও ওসমান গনিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫০০ শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।