মরে গেলেও আমার মুখ বন্ধ হবে না, লিখে রাখেন: জেড আই খান পান্না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না বলেছেন, একটি পত্রিকায় দেখলাম, বাদী আমাকে চেনেন না। তাহলে এই হত্যাচেষ্টার মামলা কেন? হয়তো আমার মুখ বন্ধ করার জন্য। তবে আমি মরে গেলেও আমার বিবেক বা মুখ বন্ধ হবে না। এটা আপনারা লিখে রাখেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে জামিন পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেড আই খান পান্না বলেন, আমি এমন কোনো কাজ করিনি যে আমার নামে মামলা দেয়া হবে। রাজনৈতিক মামলা হলে মেনে নিতাম। সেখানে আপত্তি ছিল না। জীবনে অনেক খেয়েছি। তবে এটা হত্যাচেষ্টার মামলা, তাও মেরাদিয়ায়। যেটা কোথায় আমি জানি না। ওখানে কখনো যাইনি। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।
আদালতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ অনেকে।
এর আগে রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেড আই খান পান্না।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনকে আসামি করা হয়। জেড আই খান পান্না ছিলেন ৯৪ নম্বর আসামি।
গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে আহাদুল ইসলাম।
এসময় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটান। একইসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নসাৎ করতে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয়।
সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠিপেটাও করেন। আহাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।