সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, মামলায় আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৩৬

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়নে বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানসহ ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নন্দীগ্রাম থানায় এ মামলা করেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদায়ী ওসি আজমগীর হোসাইন জানান, মামলার পরেই এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মুকুল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী, দপ্তর সম্পাদক কালেরকণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কামাল ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, তার ভাই স্বপন চন্দ্র মহন্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামুল হক, আহবায়ক শাহিনুর রহমান প্রমুখ।
আরো পড়ুন: সেই ঘটনার ১১ বছর পর আসাদুজ্জামান নূরসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এজাহার সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর স্কুল মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা তিনটি ককটেল হামলা করে। বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে পুলিশ একটি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।
ঘটনার পর সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন দাবি করেন, হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন জানান, বিএনপির সমাবেশে ককটেল হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পরে এজাহার নামীয় আসামি উপজেলার ঢাকইর গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম (৩৮) ও কালিকাপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলা প্রসঙ্গে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের হুমকি-ধমকি, হামলা ও মামলায় জর্জরিত। ফলে কেউ এলাকায় নেই; প্রতিটি বাড়ি পুরুষশূন্য। এরপরও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে তাদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।