সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

আদালতে সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া
রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’ মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়।
এর ১০ মিনিটের মাথায় তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জনি হত্যা মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা রিমান্ডের জোর দাবি জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে বিএনপির আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ডিএমপির কমিশনার থাকা অবস্থায় আছাদুজ্জামান মিয়া অনেক নিরীহ মানুষকে নিয়ে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। বেনজীরের মতো সে বিপুল পরিমাণের টাকা অর্জন করেছে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ফ্লাট প্লট নিয়েছে। এরা জনগনের জন দুষমন। এরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিনা দোষে আটক করে নির্যাতন চালিয়েছে।
আরো পড়ুন: যে দুটি মামলায় বাবরের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছিল
এর আগে গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. নুরুজ্জামান নিহত হন। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর জনির বাবা ইয়াকুব আলীর করা খিলগাঁও থানায় মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় আছাদুজ্জামান এজাহারনামীয় ১২ নম্বর আসামি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নূরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইনসহ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যান। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে আসামিরা জনি ও মইনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে তাদের ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও নির্যাতন চালানো হয়।